জে. জাহেদ:
আর মাত্র ৭দিন পরেই মুসলিম সমাজের বহু প্রতিক্ষিত পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই ঈদে উপজেলার অর্ধলক্ষ মানুষ পরিবার-পরিজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরে ফিরে মহেশখালী জেটিঘাট দিয়েই। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের অতিরিক্ত চাপ মোকাবিলায় প্রতিবারেই প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়না বলেই ঘটে নানা দূর্ঘটনাও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি।
কক্সবাজার হতে মহেশখালী উপজেলায় একমাত্র প্রবেশদ্বার হল পুরাতন জেটিঘাট। এই জেটিঘাটের ইজারাদার ও প্রশাসনের নীরবতায় একটি সিন্ডিকেট প্রতিবারেই যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাথে বাড়তি ভাড়া আদায়ও এখানকার নিয়মিত অভিযোগ।
মহেশখালীর পুরাতন জেটিঘাট টি চালু হলেও শুধুমাত্র ঈদের বাড়তি চাপ নিরসনে দরকার প্রশাসনের কিছু বিশেষ পদক্ষেপ।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে ঘাটে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে এক্ষুনি প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি দরকার। নয়তো প্রতিবারের মতো এবারো মহিলা যাত্রী ও সাধারণ জনগণের নাভিশ্বাস ওঠবে বলে ধারণা যাত্রীদের।
সুত্র জানায়, জেটিঘাটে পর্যাপ্ত স্পীডবোট, ট্রলার,লাইফ জ্যাকেট,ল্যাম্পপোস্ট লাইট এবং যাত্রী ছাউনীতে বসার ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিনিয়তই জনগণের শোচনীয় অবস্থা। মহেশখালী পৌরসভা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও আদৌও জনগণ সেবা পাচ্ছে কিনা তাও প্রশ্ন রয়েছে।
অন্যদিকে ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে রিক্সা,টমটম ভেতরে প্রবেশ না করানোর দাবি জনগণের। রোগীদের জন্য রাখা দরকার প্রবেশের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র সম্বলিত স্টিকার। না হয় নানা চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটবে প্রকাশ্যে। নিয়মিত চলাচলকারী ফিটনেস সমৃদ্ধ পরিবহনকেই ঘাটে প্রবেশের এই অনুমতি দেয়া যেতে পারে।
যাত্রীদের বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণে ও ঘাট এলাকায় যাতে যানজট সৃষ্টি হয়ে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার না হয়। সেদিক বিবেচনা করে পুরাতন জেটিঘাটের পাশাপাশি নতুন জেটিঘাট ও চালু করা দরকার।
ওই ঘাট দিয়ে শুধুমাত্র ট্রলারও লঞ্চযোগে পারাপার হওয়া দূরপাল্লার পরিবহনের যাত্রীরা পারাপার হলে চাপ কমে আসবে বলে ধারণা করছে।
যদিও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন ঘাট এলাকাতেই এবার যানজট থাকবে না পুর্বের মতো। ফলে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তিতে পরবে না ঘরে ফেরা সাধারণ মানুষেরা এমনটি আশা তাদের।
বিআইডব্লিউটিসি’র কাছে টেলিফোনে জানতে চাইলে বর্তমানে মহেশখালী জেটিঘাটে কতটি লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল করছে। তার কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। তবে ঈদের আগে সব আধুনিক ব্যবস্থা যুক্ত হচ্ছে বলেও জানান তাঁরা।
মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঈদের বাড়তি চাপে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এবং ঘাটে মানুষের কোন রকম ভোগান্তি না হয় সেদিক থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
ট্রলার ও স্পীডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ এবং সন্ধ্যার পর স্পিডবোটও চলছে না বলে জানান।
নিছিদ্র নিরাপত্তার জন্য র্যাব, পুলিশ,আনসার, ফায়ার সার্ভিসসহ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে ঘাটে এমনটি জানা যায়। যদিও জনগণের আকুতি পরিবহনে যেন বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করা না হয়।
বেসরকারী এনজিও কর্মকর্তা রিদুয়ান হাসান বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে যেন নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে সমুদ্র পার হয়ে ঘরে ফিরতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।